বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাসের মজুত রয়েছে তা দিয়ে ১০ বছর চলবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সংসদে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ইলিশায় মজুতসহ বর্তমানে গ্যাসের প্রাথমিক মজুত ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুত অবশিষ্ট রয়েছে। দৈনিক গড়ে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় এ গ্যাসে ১০ বছর চলবে।
জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের টেবিলে উপস্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনার আওতায় উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে, ক্যাপটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত গত ১৯ এপ্রিলে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমান সরকার যখন ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ও প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎ খাতকে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে গ্রহণ করা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন, বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ প্রণয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ প্রণয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি বহুমুখীকরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, এডিপি’র অধীনে বিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং নিবিড় তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পের সময়মত বাস্তবায়ন।